শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৩ নং ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের ঘোপখালী হোসেনিয়া আলীম মাদ্রাসায় গত (১৭ মার্চ রবিবার) জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২৪ ইং উদযাপন না করায় এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীরাসহ অবিভাবকরা ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সকাল ১০ টায় সরেজমিন অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে গেলে দেখা মেলে সকল শ্রেনীকক্ষে তালা বন্ধ। এবং কোন ছাত্র ছাত্রী কিংবা শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিলনা প্রতিষ্ঠানে।
সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রানালয় কতৃক গত ১০ ই মার্চ ২৪ ইং প্রেরিত পত্রে মাদ্রাসা প্রধানের উপস্থিতিসহ ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের নির্দেশনা ছিল।
অথচ উক্ত মাদ্রাসার মাওলানা মো,বশির উদ্দিনসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ অনুপস্থিত ছিল প্রতিষ্এঠানে। বং ১৭ মার্চ এর কোন অনুষ্ঠান কিংবা কোন প্রকার কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি।
এতে ক্ষোপ প্রকাশ করেছে ছাত্র ছাত্রী অবিভাবক ও অত্র এলাকাব সুশিল সমাজগন। মাদ্রাসায় উপস্থিত নৈশ প্রহরী নুর ইসলাম জানায়, আজকের অনুষ্ঠানের ব্যপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ভাল বলতে পারবেন।
আমরা ছোট মানুষ ছোট চাকুরী করি আমি এর থেকে বেশি কিছু জানি না।
উক্ত মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কেন্ডিডেট মো,কামাল হোসেন ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, জাতীর জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের সরকারি নির্দেশনা থাকা সর্তেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, কোন খুটির জোরে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তা আমার বোধ গম্য নয়।
সরকারের খাবে সরকারের পরবে মাস গেলে মোটা অংকের টাকা নিবে, কিন্তু সরকারের নির্দেশনা মানবে না এটা হতে পারে না৷
আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি এবং এলাকাবাসী উক্ত ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী করছি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ,আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল হাই ঘটনার বরাত দিয়ে বলেন, সকালবেলা মাদ্রাসায় শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি না পেয়ে আমি ফিরে এসেছি বাড়ীতে। তবে এই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ,বশির উদ্দিন মাদ্রাসার ব্যপারে কিছুই জানায় না শুনলাম পাঙ্গাশিয়ার চেয়ারম্যান আলঙ্গীরকে সভাপতি বানাইছে।
উপরোক্ত বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির উদ্দিন আহম্মেদ এর মুঠোফোনে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে। প্রতিনিধির দল চলে যায় তার বাড়ীতে।
গেলে তিনি জানান, আমি অনুষ্ঠান করার জন্য আগেই অনান্য শিক্ষকদের নিদর্শনা দিয়েছি।
তবে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারনে মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকতে পারি নাই।
আমার প্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠান হয়েছে আমি শতভাগ নিশ্চিত।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের কে কে উপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আব্দুল মান্নান স্যার,আব্দুল হাই সহ চার পাচঁজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন তবে তার অনুপস্থিত থাকার কারন জানতে চাইলে এসময় তিনি রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে কালো মানুষ আরো রেগে কালো হয়ে যান তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”র ১৭ মার্চ জন্মদিন উদযাপন না করায় এলাকাবাসীসহ ছাত্র ছাত্রী অভিবাবক ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এ বিষয় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন,এবিষয়ে আমি জানতে পেরেছি ঐ দিন সরেজমিনে তদন্তের জন্য টিম পাঠিয়েছি। তারা প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব বলে জানান।